বোলারদের ওপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অগাধ বিশ্বাস। মোস্তাফিজ-শরিফুল-নাসুম-মেহেদীরা যেকোনো বড় টার্গেটেই দলকে জেতাতে পারবেন। সেটা যদি হয় ১৬০-১৭০ রান তাহলে লড়াই করার তীব্র সাহস পাবে। কিন্তু ব্যাটসম্যানরা কি নিয়মিত ১৬০-১৭০ রান তুলতে পারবে? টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ধারাবাহিক সাফল্য না আসার বড় কারণ ব্যাটসম্যানদের রান খরা।

এটা সত্যি প্রতিদিন ব্যাটসম্যানরা রান করবেন না। কিন্তু বাংলাদেশের ওপেনিং থেকে শুরু করে মিডল অর্ডার বা লেট অর্ডার প্রায়ই অফফর্মে থাকছে। টি-টোয়েন্টি মানানসই ব্যাটিং খুব একটা পাওয়া যায় না। ইনিংস মেরামত করার কাজ একজন বা দুজন করেন। কিন্তু সেটাও পর্যাপ্ত হয় না। স্ট্রাইক রেট থাকে কম। তাতে দলীয় সংগ্রহ বড় হয় না।

 

পরিসংখ্যান তো তাই বলছে, টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং গড় মাত্র ১৪৩। আধুনিক ক্রিকেটে এমন গড় স্রেফ হতশ্রী। দলীয় সাফল্য একই কথা বলছে, আগে ব্যাটিং করা ৬০ ম্যাচের মধ্যে বাংলাদেশ জিতেছে কেবল ২২টি, হেরেছে ৩৫টি। ফল আসেনি ৩টিতে। আবার পরে ব্যাটিং করেও ফলাফল যে খুব ভালো তা নয়। ৬৭ ম্যাচে জয় ২২টিতে।

পরাজয় ৪৫টিতে। টি-টোয়েন্টিতে বোলারদের থেকে ব্যাটসম্যানদের দায়িত্বটাই বেশি। সেটা ঠিকঠাক করার সমাধান একটাই, ধারাবাহিক ১৬০-১৭০ রান করতে হবে। এই সমাধানের পথ পেয়েছেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। দলনেতার সাফ কথা, ইনিংসের শুরুতে ছোট্ট ক্যামিও ইনিংস। মাঝে সেই ধারাবাহিকতা টেনে নিতে হবে আরেকজনকে।

 

শেষে খেলতে হবে আরেকটি ছোট্ট ক্যামি ইনিংস। তাতেই বাংলাদেশ সম্মানজনক পুঁজি পেতে পারে। স্থানীয় সময় বুধবার (০৬ জুলাই) গায়ানায় অনুশীলনে নামার আগে গণমাধ্যমে মাহমুদউল্লাহ বলেছেন, ‘অনেক সময় ওপেনাররা ভালো শুরুর পরও মিডল অর্ডার সেটা টেনে নিয়ে নাও যেতে পারে। তারপরও কাউকে না কাউকে দায়িত্ব নিতে হবে।

আগের ম্যাচে সাকিব যেরকম একটা ইনিংস খেললো, আমরা ১৬০ এর কাছাকাছি চলে গিয়েছিলাম। এরকম একজনকে করতে হবে। সঙ্গে কয়েকজনকে ১৫, ২০, ৩০ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলতে হবে। সেটা শুরুতে একজনকে খেলতে হবে এবং শেষে আরেকজনকে। তাহলে হয়তো আমরা ধারাবাহিকভাবে ১৬০-১৭০ করতে পারব।’

 

‘আমাদের বিশ্বাস ব্যাটসম্যানরা যদি ধারাবাহিকভাবে ১৬০-১৭০ রান করতে পারে বোলাররা সেটা ডিফেন্ড করতে পারবে। হয়তো আগের ম্যাচে পেস বোলাররা ভালো করতে পারেনি। কিন্তু অনেক ম্যাচেই কিন্তু বোলাররা প্রতিপক্ষকে অল্প রানে আটকে রাখতে পেরেছে।’ যোগ করেন তিনি। মাহমু্দউল্লাহ ছক কাটা পরিকল্পনা দিলেও বাস্তবে বড় দলগুলো এভাবেই সাফল্য পাচ্ছে।

একজন ব্যাটসম্যানদের একটি বড় ইনিংসের থেকে একাধিক ছোট ইনিংসই পার্থক্য গড়ে দেয়। লিটন, এনামুল, সাকিব, মাহমুদউল্লাহ, সোহানরা গায়ানায় শেষ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার রাতে মাঠে নামবে। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে ব্যাটসম্যানরা প্রত্যাশিত পারফরম্যান্সে দলের দাবি পূরণ করতে পারেন কিনা সেটাই দেখার।